সকল জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন: সবুজ রসায়ন কী? [ব.বো, দি.বো. ১৬; সি.বো. ১৫]

উত্তর: বর্তমানে পৃথিবীর্যাপী রসায়নবিদরা বিভিন্ন শিল্পে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রয়োগে শিল্প ক্ষেত্রে ক্ষতিকর পদার্থ উৎপন্ন যথাসম্ভব হ্রাস করে নতুন ও উন্নততর পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি উদ্ভাবনে সচেষ্ট রয়েছেন, এরূপ রাসায়নিক পদ্ধতিকে গ্রিন কেমিস্ট্রি বলা হয়।

প্রশ্ন: এটম ইকোনমি বলে কী?

উত্তর: কোন বিক্রিয়ার কাঙিক্ষত উৎপাদের মোট ভর এবং বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত সকল বিক্রিয়কের সংকেতের আনবিক ভরের সমষ্টির অনপাতকে এটম ইকোনমি বলে ।

প্রশ্ন: উভমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর: যদি কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া এক সাথে সম্মুখদিক ও পশ্চাদিক থেকে সংঘটিত হয়, তবে সে বিক্রিয়াকে উভমুখী বিক্রিয়া বলা হয়।

প্রশ্ন: একমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর: কোন বিক্রিয়ায় সমস্ত বিক্রিয়ক পদার্থ যখন উৎপাদে পরিণত হয়। অর্থাৎ বিক্রিয়াটি শুধু সম্মুখ দিকে ঘটতে থাকে, তখন ঐ বিক্রিয়াটিকে একমুখী বিক্রিয়া বলা হয়।

প্রশ্ন: গ্রিন কেমিস্ট্রি কী? [দি.বো-১৭, রা.বো-১৫]

উত্তর: গ্রিন কেমিস্ট্রি হল রসায়নের এমন একটি শাখা, যেখানে কম পরিবেশ দূষণ করে এমন প্রক্রিয়া ও উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করা হয়।

প্রশ্ন: বিক্রিয়ার হার কী? [চ.বো-১৯,১৬ রা. বো-১৫]

উত্তর: প্রতি একক সময়ে বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা হ্রাস বা বিক্রিয়ায় সৃষ্ট উৎপাদের ঘনমাত্রা বৃদ্ধির হারকে বিক্রিয়ার হার বলে।

৩০. বিক্রিয়ার গতি কী? [সি.বো -১৬]

উত্তর: একক সময়ে একটি বিক্রিয়ার বিক্রিয়কসমূহের ঘনমাত্রা কতটুকু হ্রাস পায় বা উৎপন্ন পদার্থের ঘনমাত্রা কতটুক বৃদ্ধি পায় তাকে অথাৎ ঘনমাত্রা পরিবর্তনের হারকে ঐ বিক্রিয়ার গতির হার বা গতিবেগ বলে।

 প্রশ্ন: বিক্রিয়ার হার ধ্রুবক কী?

উত্তর: কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যদি প্রতিটি বিক্রিয়কের 1mol/L ঘনামাত্রা হয় তাহলে তার হার কে বিক্রিয়ার হার হার ধ্রুবক বলে।

৩১. বিক্রিয়ার ক্রম কাকে বলে?

উত্তর: কোন বিক্রিয়ার বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা (C) কে n ঘাতে (Power) উন্নীত করলে উন্নীত রাশিটি পরীক্ষালব্ধ বিক্রিয়া হারের সমানুপাতিক হয়। তখন তাকে বিক্রিয়ার ক্রম বলে।

প্রশ্ন: সক্রিয়ন শক্তি কী?

উত্তর: বিক্রিয়ক অণুগুলো ন্যূনতম যে শক্তি অর্জন করে উৎপাদে পরিণত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে তাকে সক্রিয়ন শক্তি বলে।

প্রশ্ন: অনুঘটক বা প্রভাবক কাকে বলে?

উত্তর: যে পদার্থের সামান্য উপস্থিতি কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতিকে প্রভাবিত করে অর্থাৎ গতি বৃদ্ধি বা হ্রাস করে এবং বিক্রিয়া শেষে পদার্থটির ভর ও গঠন অপরিবর্তিত থাকে তাকে প্রভাবক বা অনুঘটক বলে।

প্রশ্ন: প্রভাবন কী?

উত্তর: অনুঘটকের উপস্থিতিতে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ ত্বরান্বিত হওয়ার ঘটনাকে অনুঘটন বা প্রভাবন বলে।

প্রশ্ন: অটো প্রভাবক বা স্ব প্রভাবক কী?

উত্তর: কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থের কোন একটি পদার্থ যদি ঐ বিক্রিয়ার গতিকে বৃদ্ধি বা হ্রাস করে তাকে  অটো প্রভাবক বা স্ব প্রভাবক বলে।

প্রশ্ন: ধনাত্মক প্রভাবক কাকে বলে?

উত্তর: যে প্রভাবক কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিকে বৃদ্ধি করে তাকে ধনাত্মক প্রভাবক বলে।

প্রশ্ন:  ঋনাত্মক প্রভাবক কাকে বলে?

উত্তর: যে প্রভাবক কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিকে হ্রাস করে তাকে ধনাত্মক প্রভাবক বলে।

প্রশ্ন:  আবিষ্ট প্রভাবক কাকে বলে?

উত্তর: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি বিক্রিয়কের প্রভাবে যদি অপর একটি বিক্রিয়ক প্রভাবিত হয় তবে প্রথম প্রভাবকটিকে আবিষ্ট প্রভাবক বলে।

প্রশ্ন: প্রভাবক সহায়ক বা বিবর্ধক কী?

উত্তর: যে সকল পদার্থ নিজে বিক্রিয়ার গকিতে প্রভাবিত করতে পারে না কিন্তু প্রভাবকের গতিকে বৃদ্ধি করে তাকে প্রভাবক সহায়ক বা বিবর্ধক বলে।

প্রশ্ন: প্রভাবক বিষ কী?

উত্তর: যে সকল পদার্থ প্রভাবকের প্রভাবন ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয় তাদের কে প্রভাবক বিষ বলে।

প্রশ্ন: অসমসত্ত্ব প্রভাবক কাকে বলে?

উত্তর: যে প্রভাবনের ক্ষেত্রে প্রভাবকটি সিস্টেমের অন্যনা উপদান অপেক্ষা ভিন্ন দশায় থাকে, তাকে অসমসত্ত্ব প্রভাবন বলে এবং সংশ্লিষ্ট প্রভাবকটিকে অসমসত্ত্ব প্রভাবক বলে।

প্রশ্ন: অসমসত্ত্ব প্রভাবক কাকে বলে?

উত্তর: যে প্রভাবনের ক্ষেত্রে প্রভাবকটি সিস্টেমের প্রত্যেটি উপদান অপেক্ষা  একই দশায় থাকে, তাকে সমসত্ত্ব প্রভাবন বলে এবং সংশ্লিষ্ট প্রভাবকটিকে সমসত্ত্ব প্রভাবক বলে।  

প্রশ্ন:  অসমসত্ত্ব সাম্যাবস্থা কাকে বলে?
উত্তর: যে উভমুখী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদসমূহ ভিন্ন ভৌত অবস্থায় থাকে, তাকে অসমসত্ত্ব বা বিষম সাম্যাবস্থা বলা হয়।

প্রশ্ন:  সমসত্ত্ব সাম্যাবস্থা কাকে বলে?

উত্তর: যে উভমুখী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদসমূহ একই ভৌত অবস্থায় যেমন- গ্যাস অথবা তরল বা দ্রবণে থাকে, তাকে সমসত্ত্ব বা সুষম সাম্যাবস্থা বলা হয়।

প্রশ্ন: এনজাইম কী? [চি.বো-১৫]

উত্তর: এনজাইম হচ্ছে জীবন্ত উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষ থেকে উৎপন্ন, উচ্চ আণবিক ভরবিশিষ্ট নাইট্রোজেনযুক্ত বর্তুলাকার টারসিয়ারি প্রোটিন নামক জটিল জৈব পদার্থ।

প্রশ্ন: এনজাইম প্রভাবন কাকে বলে?

উত্তর: এনজাইমের প্রভাবে যে প্রভাবন ক্রিয়া সংগঠিত হয় তাকে এনজাইম প্রভাবন বলে ।

৩১. বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা কাকে বলে? [দি.বো-১৬]

উত্তর: যখন কোন উভমুখী বিক্রিয়ার সম্মুখদিরে গতিবেগ তার বিপরীত দিকের গতিবেগের সমান হয়, তখন সে অবস্থাকে সে বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা করা হয়।

৩৭. লা-শ্যাতেলিয় নীতি কী? [বি.বো-১৬; রা.বো-১৫]

উত্তর: যে সব নিয়ামকের (তাপমাত্রা; চাপ ও উপাদানের ঘনমাত্রা এবং নিক্রিয় উপাদান সংযোগ) উপর কোন উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা নির্ভরশীল তাদের যে কোন এক বা একাধিক নিয়ামকের পরিবর্তন ঘটলে সাম্যাবস্থার অবস্থান ডানে বা বামে এমনভাবে স্থানান্তরিত হয় যাতে এসব পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত হয়ে যায়।

উত্তর: যদি কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিক্রিয়কগুলোর ভৌত অবস্থা ও প্রভাবকের ভৌত অবস্থা একই, তখন তাকে সমসত্ত্ব প্রভাবক বলা হয়।

৩৪. ভর ক্রিয়া সূত্রটি লিখ? [দি.বো-১৭ ঢা.বো- ১৬,১৫ কু.বো, য.বো, ব.বো-১৫]

উত্তর: “যে কোন বিক্রিয়ার হার বিক্রিয়কগুলোর সক্রিয় ভরের সমানুপাতিক। সক্রিয় ভর বলতে সাধারণত প্রতি লিটার দ্রবণে পদার্থটির যত মোল দ্রবীভূত থাকে তা বোঝায়। 

প্রশ্ন: সাম্য ধ্রুবক কী? [সি.বো-১৫]

উত্তর: সামধ্রুবক স্থির তাপমাত্রায় ও স্থির চাপে একটি উভমুখী বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থসমূহের সক্রিয়ভর যেমন মোলার ঘনমাত্রা বা আংশিক চাপের গুণফল এবং বিক্রিয়ক সমূহের সক্রিয়ভরের গুণফলের অনুপাত একটি স্থির রাশি হয়ে থাকে। এই স্থির রাশিকে সাম্যধ্রুবক বলে।

৪৪. মোলার সামধ্রুবক কাকে বলে?

উত্তর: কোন উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় ভর ক্রিয়ার সূত্র মতে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের সক্রিয় ভরকে মোলার ঘনমাত্রায় প্রকাশ করে প্রাপ্ত সামবককে মোলার সামধ্রুবক বলা হয়।

৪৩. pH কাকে বলে? [ঢা.বো-১৭, য.বো-১৬]

উত্তর: কোন দ্রবণের H+ আয়নের ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে ঐ দ্রবণের pH বলা হয়।

প্রশ্ন: পানির আয়নিক গুণফল কী? [রা.বো-১৯]

উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ পানিতে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা [H+] ও হাইড্রক্সিল আয়নের ঘনমাত্রার [OH] গুণফল ধ্রুবক হয়। এ গুণফলকে পানির আয়নিক গুণফল বলে।

প্রশ্ন: আয়নিক গুণফল কী? [য.বো-‘১৭]

উত্তর: দ্রবণে বিদ্যমান আয়ন সমূহের ঘনমাত্রাকে তাদের মোলসংখ্যার ঘাতে উন্নীত করে তাদের গুণফলকে ঐ দ্রবণের আয়নিক গুণফল বলে।

প্রশ্ন: অসওয়ান্ডের লঘুকরণ সূত্রটি লিখ।

উত্তর: একটি এসিডবা ক্ষারকের বিয়োজন মাত্রা দ্রবণের ঘনমাত্রার বর্গমূলের ব্যাস্তানুপতিক।

প্রশ্ন: বিয়োজন মাত্রা কাকে বলে? [রা.বো-১৯]

উত্তর: কোনো পদার্থের যত ভগ্নাংশ বিয়োজিত হয়েছে সে সংখ্যাকে ঐ পদার্থের বিয়োজন মাত্রা বলে।

প্রশ্ন: অম্লের বিয়োজন ধ্রুবক কী?

উত্তর: প্রতি লিটার জলীয় দ্রবণে উপস্থিত কোনো অম্লের মোল সংখ্যার যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত অবস্থায় থাকে, তাকে ঐ অস্ত্রের বিয়োজন ধ্রুবক বলে।

প্রশ্ন: ক্ষারকের বিয়োজন ধ্রুবক কী?

উত্তর: প্রতি লিটার জলীয় দ্রবণে উপস্থিত কোনো ক্ষারকের মোল সংখ্যার যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত অবস্থায় থাকে, তাকে ঐ ক্ষারকের বিয়োজন ধ্রুবক বলে।

৪৬. এসিড কী?

উওর: যেসব পদার্থের অণুতে প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন আছে যা ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীলমূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে লবণ গঠিত হয়, তাকে এসিড বা অস্ত্র বলা হয়।

৪৭. ক্ষারক কী?

উত্তরঃ যে সকল হাইড্রোক্সিল যৌগ জলীয় দ্রবণে আংশিক বা সম্পূর্ণ বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH) প্রদান করে, তাদের ক্ষারক বলা হয়।

৪৮. অনুবন্ধী অম্ল কী?

উওর: কোনো ক্ষারকের সাথে একটি প্রোটন (H+) সংযোগের ফলে যে অম্লের সৃষ্টি হয়, তাকে সে ক্ষারকের অনুবন্ধী অম্ল বলে।

৪৯. অনুবন্ধী ক্ষারক কী?

উত্তর: কোনো অস্ত্র থেকে একটি প্রোটন অপসারণের ফলে যে ক্ষারক সৃষ্টি হয়, তাকে সে অম্লের অনুবন্ধী ক্ষারক বলা হয়।

৫০. মনোপ্রোটিক এসিড কী? 

উত্তর: যে এসিড একটিমাত্র প্রোটন প্রদান করতে পারে, তাকে মনোপ্রোটিক এসিড বলে।

৫১. পলিপ্রোটিক এসিড কী?

উত্তরঃ যে এসিড একের অধিক প্রোটন প্রদান করতে পারে, তাকে পলিপ্রোটিক এসিড বলে।

৫২. মনোপ্রোটিক ক্ষারক কী?

উত্তর: যে ক্ষারক একটিমাত্র প্রোটন গ্রহণ করতে পারে তাকে মনোপ্রোটিকে এক ক্ষারক বলে।

৫৩. পলিপ্রোটিক ক্ষারক কী?

উত্তর: যে ক্ষারক একের অধিক প্রোটন গ্রহণ করে, তাকে পলিপ্রোটিক ক্ষারক বলে।

৩৩. বাফার দ্রবণ কী? [চ.বো, সি.বো-১৬; কু.বো, ব.বো-১৫] 

উত্তর: যেসব দ্রবণে বাইরে থেকে সামান্য পরিমাণ এসিড বা ক্ষার যোগ করা হলে দ্রবণের pH-এর মানের প্রায় পরিবর্তন হয় না, তাদের বাফার দ্রবণ বলে।

 ৪৫. বাফার ক্ষমতা কাকে বলে?

উত্তর: বাফার দ্রবণের একক pH পরিবর্তনের জন্য কোনো তীব্র ক্ষারকের যতটুকু ঐ দ্রবণে যোগ করতে হয়, তাকে বাফার ক্ষমতা বলে ।

প্রশ্ন: অ্যাসিডোসিস কী?

উত্তর: স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তের pH সাধারণত 7.35 থেকে 7.45 এর মধ্যে থাকে। যদি কোন কারণে রক্তের pH = 7 এর নিচে চলে যায় তাহলে তাকে অ্যাসিডোসিস বলা হয়।

৩৫. ভরের নিত্যতা সূত্রটি লিখ?

উত্তর: পদার্থকে সৃষ্টি করা যায় না বা ধ্বংসও করা যায় না, তাকে এক অবস্থা হতে অন্য অবস্থায় রূপান্তর করা যায় মাত্র।

৩৬. ল্যাভয়সিয়ে ও ল্যাম্পাসের সূত্রটি লিখ?

উত্তর: “কোনো বিক্রিয়া একদিকে সংঘটিনের সময় যে পরিমাণ তাপের পরিবর্তন ঘটে বিক্রিয়াটি বিপরীত দিকে ঘটানো হলে ঐ একই পরিমাণ তাপের পরিবর্তন ঘটে, তবে চিহ্ন বিপরীত হয়।

প্রশ্ন: হেসের সূত্র লিখ। [চ.বো-১৯; ঢা.বো-১৭; য.বো, দি.বো-১৬]

উত্তর: যদি কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রারম্ভিক অবস্থা স্থির বা একই থাকে, তবে সে বিক্রিয়া এক বা একাধিক ধাপে সংঘটিত হোক না কেন প্রতিক্ষেত্রেই বিক্রিয়া এনথালপি বা বিক্রিয়া তাপ সমান থাকবে।

৬. এনথালপি কাকে বলে? [সি.বো-১৯]

উত্তর: স্থির চাপে কোনো সিস্টেমের অভ্যন্তরীন শক্তির সাথে সিস্টেমের চাপ ও আয়তনের গুণফল শক্তি যোগ করলে যে মোট শক্তি হয় তাকে সিস্টেমের এনথালপি বলে।

২৮. বন্ধন এনথালপি কাকে বলে?

উত্তর: কোন পদার্থের অণুতে 1 mol নির্দিষ্ট প্রকৃতির যতগুলো বন্ধন আছে তার সবগুলো ভাঙ্গতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় তার গড় মানকে ঐ পদার্থের বন্ধন শক্তি বলে।   

৫৬. উর্ধ্বপাতন এনথালপি কাকে বলে?

উত্তর: এক মোল পরিমাণ কঠিন পদার্থ যে তাপ শোষণ করে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয়, তাকে ঊর্ধ্বপাতন এনথালপি বলা হয়। ৫৭.বাষ্পীয়করণ এনথালপি কাকে বলে?

উত্তর: এক মোল তরল পদার্থ এর স্ফুটনাঙ্কে যে পরিমাণ তাপ শোষণ করে বাষ্পে পরিণত হয়, তাকে ঐ পদার্থের বাষ্পীকরণ এনথালপি বলা হয়।

১. দহন তাপ কাকে বলে? [ঢা.বো-১৯]

উত্তর: স্থির চাপে এক মোল পরিমাণ কোনো পদার্থকে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণরূপে দহন করলে যে পরিমাণ তাপ নির্গত হয় তাকে ঐ পদার্থের দহন তাপ বলে।

২৩. গলন তাপ কাকে বলে?

উত্তর: 1.0 mol কঠিন পদার্থকে তরলে পরিণত করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয় তাকে গলন তাপ বলে।

২৪. দ্রবণ তাপ কাকে বলে? [দি.বো-১৫]

উত্তর: 1 গ্রাম মোল দ্রবকে যথেষ্ট পরিমাণ (যে অবস্থায় আরো দ্রাবক যোগ করলে তাপমাত্রার আর পরিবর্তন হয় না) দ্রাবকে দ্রবীভূত করা হলে যে পরিমাণ তাপের পরিবর্তন হয়, তাকে ঐ দ্রবের পূর্ণ দ্রবণ তাপ বলে।

২৭. পরমাণুণ তাপ কাকে বলে?

উত্তর: কোন পদার্থের 1 মোল গ্যাসীয় কণাকে তাপ প্রযোগ করে 1 মোল বিচ্ছিন্ন গ্যাসীয় পরমাণুতে রূপান্তরিত করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ পদার্থের পরমাণুকরণ তাপ বলা হয়।

২৯। বিয়োজন তাপ কাকে বলে?

উত্তর: 1.0 মোল যৌগকে তার উপাদান মৌলে বিয়োজিত করতে যে পরিমাণ তাপশক্তির প্রয়োজন হয় তাকে যৌগটির বিয়োজন তাপ বলে।

অপেক্ষা যে পরিমাণ অধিক শক্তি লাভ করে বিক্রিয়ায় অংশ গ্রহণের উপযুক্ততা অর্জন করে, তাকে ঐ বিক্রিয়ার সক্রিয়ণ শক্তি বলে ।

৬০. তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর: যে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে তাপশক্তির শোষণ এবং বিক্রিয়া অঞ্চলের তাপমাত্রা হ্রাস পায় তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে।

৬১. তাপউৎপাদী বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর: যে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে তাপশক্তির নির্গমন হয় এবং বিক্রিয়া অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাকে তাপউৎপাদী বিক্রিয়া বলে।

৭. আয়নীকরণ বিভব কি? [সম্মিলিত বোর্ড-‘১৮]

উত্তর: গ্যাসীয় অবস্থায় কোন মৌলের এক মোল বিচ্ছিন্ন নিরপেক্ষ পরমাণু থেকে একটি করে ইলেকট্রন সরিয়ে একে গ্যাসীয় বিচ্ছিন্ন এক মোল একক ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে সেই মৌলের আয়নিকরণ বিভব বলা হয়।

প্রশ্ন: ভিনেগার কী? [সম্মিলিত বোর্ড-১৮]

উত্তর: ইথানয়িক এসিড বা অ্যাসিটিক এসিডের 6 – 10% জলীয় দ্রবণকে ভিনেগার বলা হয়।

প্রশ্ন: বর্ণালী কি? [সম্মিলিত বোর্ড-১৮]

উত্তর: ইলেকট্রন এক শক্তিস্তর হতে অন্য শক্তিস্তরে স্থানান্তরের ফলে আলোক রশ্মি হিসেবে শক্তি শোষিত বা বিকিরিত হয়। ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একাধিক বর্ণের আলোক রশ্মির এ সমাহার কেই বর্ণালী বলে।

উত্তর: প্রমাণ দ্রবণ (Standard Solution): যে দ্রবণের ঘনমাত্রা সঠিকভাবে জানা থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ বলে। নির্দিষ্ট আয়তনের দ্রবন নির্দিষ্ট ভরের দ্রব দ্রবীভূত করে প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা হয়। যেমন: মোলার দ্রবণ, নরমাল দ্রবণ, শতকরা ঘনমাত্রার দ্রবণ।

 ২৫. প্রভাবক বিষ কাকে বলে? [কু.বো-১৭, ১৫]

উত্তর: যে সব পদার্থ প্রভাবকের প্রভাবন ক্ষমতা হ্রাস এমনকি বন্ধ করে দেয় তাদেরকে প্রভাবক বিষ বলে। সাধারণত ধূলাবালি, সালফার চূর্ণ, As2O3 প্রভৃতি প্রভাবক বিষ হিসেবে কাজ করে।

২৬. প্রভাবক সহায়ক কাকে বলে? [দি.বো-১৫]

উত্তর: যে সব পদার্থ নিজে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে না কিন্তু। কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় প্রভাবকের সাথে উপস্থিত থেকে প্রভাবকের প্রভাবণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাদেরকে প্রভাবক সহায়ক বলে।

৪২. সক্রিয়ণ শক্তি কাকে বলে? [রা.বো, ব.বো-১৬]

উত্তর: বিক্রিয়ক হতে উৎপাদে পরিনত হওয়ার জন্য ন্যূনতম যে পরিমান শক্তি অর্জন করতে হয় তাই হলাে সক্রিয়ণ শক্তি।

Leave a Reply