বাঁশ কোরল কৌটাজাতকরণ:

আমরা যেমন কলার মোচা খাই তেমনি আমাদের দেশের বা প্রতিবেশী দেশগুলোর উপজাতীয় বা পাহাড়ি প্রবাসীরা বেশ মজা করে বাঁশ কোরল খায়। এটা মাটির নিচ থেকে বেরোনো বাঁশের কচি ডাটা জাতীয় অংশ। কালস্টেরলমুক্ত এ বস্তু দিয়ে স্যুপ তৈরি করা হয়। ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন A ও C সমৃদ্ধ বাঁশকোরলের পুষ্টিমান খুব উচচ (প্রায় 20 cal/100g)।এটি হজম ও রুচি বাড়ায় এবং ক্যান্সার প্রকিরোধক ।

১.বাচাইকরণ ও ধৌতকরণ : কচি সতেজ বাঁশ কোরল বাছাই করে ধুয়ে নেয়া হয়।

২.কাটা : বাঁশ কোরলের মাথা ও শেষাংশ কেটে নিয়ে পাতলা ফাঁলি করা হয়।

৩.কৌটাজাত : টুকরাগুলো পানিতে সিদ্ধ করার পর কৌটায় ভরা হয়। এরপর কৌটায় গাঢ় ব্রাইন ঢেলে তাপ দেয়া হয়।

৪.সিলকরণ : বায়ুশুন্য কৌটার মুখ সিলার দিয়ে বন্ধ করে লেবেল লাগানো হয়।

৫.লেবেল আঁটা : নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কৌটা গরম করে জীবাণু ধ্বংস করা হয়। এরপর লেবেল এটে কৌটাভর্তি বাঁশ কোরল বাজারজাত করা হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!