জেনেভা পদ্ধতি বা IUPAC পদ্ধতি সাধারণ ও উদ্ভূত পদ্ধতিতে অসংখ্য জৈব যৌগের নামকরণ করা সম্ভব হলেও সকল জৈব যৌগের নামকরণ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া এ পদ্ধতিতে নামকরণে জৈব যৌগের উৎস ধর্ম, ব্যবহার ইত্যাদিকে প্রাধান্য দেওয়ায় জৈব যৌগের নাম থেকে সংশ্লিষ্ট যৌগের সংকেত সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। এ সকল সমস্যা সমাধান 1892 সালে জেনেভা শহরে IUPAC সম্মেলনে সর্বপ্রথম জৈব যৌগের নামকরণে সহজ ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। 1947 সালে জৈব যৌগের নামকরণের জন্য IUPAC (International Union of Pure and Applied Chemistry) পদ্ধতি নামে একটি নামকরণ পদ্ধতি চালু করা হয়। 1979 সালে এই পদ্ধতিটির প্রথম সংস্কার করা হলেও 1993 সালে চূড়ান্ত সংস্কার করে। এই পদ্ধতির নামকরণের নিয়মাবলি প্রকাশ করা হয়। IUPAC পদ্ধতিতে জৈব যৌগের নামকরণের সাধারণ নিয়মাবলি নিম্নরূপ –

i) IUPAC পদ্ধতিতে জৈব যৌগের নামকরণে প্রধানত তিনটি পদ বা অংশ থাকে।

যেমন – উপপদ (Prefix), শব্দমূল (Stem or Main Word) এবং পরপদ (Suffix)

ii) মূল জৈব যৌগের কার্বন শিকলের H পরমাণু অন্য কোনো পরমাণ বা মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে তাকে উপপদ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। উপপদটিকে মূল জৈব যৌগের নামের পূর্বে কার্বন শিকলে তার অবস্থান নির্দেশক সংখ্যাসহ লিখতে হবে।

iii) দীর্ঘতম কার্বন শিকলে বিদ্যমান মোট কার্বন পরমাণুর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে শব্দমূলের নামকরণ করা হয়।

iv) জৈব যৌগের গঠন অনুসারে নির্ধারিত সমগোত্রীয় শ্রেণি বা কার্যকরী মূলকের নির্ধারিত নামের অংশটি শব্দমূলের শেষে পরপদ হিসেবে প্রকাশ করা হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!