১. তড়িৎ বিশ্লেষণ কী ?
তড়িৎ বিশ্লেষ্যের আয়ন ধারী দ্রবণের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনার ফলে যে রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে তাকে তড়িৎ বিশ্লেষন বলে ।
২. ধাতব বা ইলেকট্রনিক পরিবাহী কী ?
যে সব পদার্থের ভিতর দিয়ে ইলেকটনের প্রবাহ দ্বারা তড়িৎ পরিবাহিত হয় তাকে ধাতব বা ইলেকট্রনিক পরিবাহী বলে ।
৩. তড়িৎ বিশ্লেষ্য বা ইলেকট্রোলাইটিক পরিবাহী কী ?
যে সব পদার্থেও জলীয় দ্রবনের মধ্য দিয়ে ঐ পদার্থ থেকে উৎপন্ন আয়ন দ্বারা তড়িৎ পরিবাহিত হয় তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বা ইলেকট্রোলাইটিক পরিবাহী বলে ।
৪. ইলেকট্রোকেমিক্যাল সিরিজ বা তড়িৎ বাসায়নিক সারি কী ?
তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় আয়নগুলো চার্জ মুক্ত হওয়ার প্রবণতার উপর ভিত্তি করে আয়নগুলোকে একটি সারিতে সাজানো হয় । এই সারি কে ইলেকট্রোকেমিক্যাল সিরিজ বা তড়িৎ বাসায়নিক সারি বলে ।
৫. ফ্যারাডের প্রথম সূত্রটি লিখ ।
তড়িৎ বিশ্লেষণের ফলে তড়িৎদ্বারে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের যে পরিমাণ জমা বা মুক্ত হয় তা তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণে প্রবাহিত বিদ্যুতের মোট পরিমাণের সমাণুপাতিক ।
৬. তড়িৎ রাসায়নিক তুল্যাঙ্ক কী ?
১ কুলম্ব (অথাৎ ১অ্যাম্পিয়ার ১সেকেন্ড) বৈদ্যুতিক চার্জ চালনার জন্য তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের যত গ্রাম তড়িৎদ্বারে জমা বা মুক্ত হয় তাকে ঐ পদার্থের তড়িৎ রাসায়নিক তুল্যাঙ্ক বলে ।
৭. ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্রটি লিখ ।
বিভিন্ন তড়িৎ তড়িৎ বিশ্লেষ্যেও মধ্য দিয়ে একই পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহিত করলে বিভিন্ন তড়িৎদ্বারে জমাকৃত বা দ্রবীভ‚ত পদার্থগুলোর পরিমাণ নিজ নিজ রাসায়নিক তুল্যঙ্কের সমাণুপাতিক ।
৮. ধাতুর সক্রিয়তার সিরিজ কী ?
যে তালিকায় ধাতুগুলো তাদের সক্রিয়তার অধঃক্রম অনুসারে সজ্জিত থাকে তাকে ধাতুর সক্রিয়তার সিরিজ বলে ।
৯. তড়িৎদ্বার বিভব কী ?
তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় ধাতব পাত ও তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণের সংযোগ স্থলে যে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি হয় তাকে তড়িৎদ্বার বিভব বলে ।
১০. জারন তড়িৎদ্বার বিভব কী ?
একটি তড়িৎদ্বারের ইলেকট্রন বর্জনের প্রবণতা বা তড়িৎদ্বার যে পদার্থ দিয়ে গঠিত তার জারিত হওয়ার প্রবণতাকে জারন তড়িৎদ্বার বিভব বলে ।
১১. বিজারন তড়িৎদ্বার বিভব কী ?
তড়িৎদ্বার পদার্থের ইলেকট্রন গ্রহণের প্রবণতা বা দ্রবণের বিদ্যমান আয়নের বিজারিত হওয়ার প্রবণতাকে বিজারন তড়িৎদ্বার বিভব বলে ।
১২. প্রমাণ তড়িৎদ্বার বিভব কী ?
যখন কোন তড়িৎদ্বাকে কোন দ্রবণে নিমজ্জিত করা হয় , যে দ্রবণের ঘনমাত্রা 1 mol/dm3 তাপমাত্রা 25℃, এবং চাপ 1.০ atm হয় , তখন ঐ তড়িৎদ্বারে যে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি হয় তাকে প্রমাণ তড়িৎদ্বার বিভব বিভব বলে ।
১৩. কোষ বিভব বা তড়িৎচালক বল (electromotiv force) বা emf কী ?
কোন তড়িৎ বাসায়নিক কোষে অ্যানোডে জারন বিভব ও ক্যাথোডে বিজারন বিভবের যোগফলকে ঐ তড়িৎ বাসায়নিক কোষের কোষ বিভব বা তড়িৎচালক বল (electromotiv force) বা emf বলে ।
১৪. লবণ সেতু (Solt Bridge) কী ?
দুইটি অর্ধকোষের মধ্যে পরোক্ষ সংযোগের জন্য একটি বিশেষ লবণ যেমন : কঈষ বা কঘঙ৩ বা ঘঐ৪ঘঙ৩এর সম্পক্ত দ্রবণ ভর্তি ট- আকৃতির কাচনলের উভয় মুখ তুলা দ্বারা বন্ধ করে অর্ধকোষদ্বয়ের উভয় তরলের মধে ডুবিয়ে রাখা হয় । অর্ধকোষদ্বয়ের এরুপ পরোক্ষ সংযোগ মাধ্যমই হল লবন সেতু বা Solt Bridge ।
১৫. নিদের্শক তড়িৎদ্বার কী ?
যে তড়িৎদ্বারের বিভব সুস্থিত এবং সঠিকভাবে জ্ঞাত থাকে এবং যার দ্বারা অন্য তড়িৎদ্বারের বিভব নির্ণয় করা যায় তাকে নিদের্শক তড়িৎদ্বারবলে ।
১৬. ফুয়েল সেল কী
ফুয়েল সেল বা জ্বালানী কোষ হলো এমন একটি ব্যবস্থা যা জ্বালানী বা ফুয়েলের রাসায়নিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রুপান্তরিত করে ।
ফুয়েল সেলে হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, হাইড্রোকার্বন যথা প্রকৃতিক গ্যাস , বিভিন্ন অ্যালকোহল যথা মিথানল ব্যবহৃত হয়।