বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র, গ্যাসের উপাদান ব্যবহার ◊

≥ প্রশ্ন-প্রাকৃতিক গ্যাস কী?

উত্তর: ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিভিন্ন গভীরতায় শিলাস্তরের মধ্যে সঞ্চিত পেট্রোলিয়াম খনিজ তেলের উপরিভাগে পৃথকভাবে উচ্চ চাপে জমাকৃত যে গ্যাসীয় পদার্থ পাওয়া যায় তাকে প্রাকৃতিক গ্যাস বলে।

≥ প্রশ্ন-আর্দ্র প্রাকৃতিক গ্যাস কী?

উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেন ও ইথেন ছাড়াও যদি উচ্চতর স্ফটানাঙ্ক  বিশিষ্ট  প্রোপেন, বিউটেন, আইসোবিউটেন, আইসোপেন্টেন প্রভৃতি হাইড্রোকার্বনসহ জলীয় বাষ্প থাকে তখন সে গ্যাসকে আর্দ্র প্রাকৃতিক গ্যাস বলা হয়।

≥ প্রশ্ন-শুষ্ক প্রাকৃতিক গ্যাস কী ?

উত্তর: যে সব গ্যাস ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে অশোধিত পেট্রোলিয়াম তেল থাকে না তাকে শুষ্ক প্রাকৃতিক গ্যাস বলে। যেমন: সিলেটের  রশিদপুরের প্রাকৃতিক গ্যাসে 99.6% মিথেন রয়েছে। তাই এরুপ গ্যাস শুষ্ক প্রাকৃতিক গ্যাস।

≥ প্রশ্ন-সংমিত প্রাকৃতিক গ্যাস (CNG) কী?

উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাসকে নির্দিষ্ট চাপে সংকুচিত করে সিলিন্ডারজাত  করা হলে তাকে সংমিত প্রাকৃতিক গ্যাস (CNG) বলে ।

≥ প্রশ্ন-প্রশ্ন- LPG(Liquefied Petroleum Gas)কী?

উত্তর: এটি মূলত তরলীকৃত প্রোপেন এবং বিউটেন। প্রকৃতিক গ্যাস ফিল্ড থেকে আহরিত অথবা অশোধিত পেট্রোলিযাম শোধনের সময় ক্র্যাকিং প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন প্রপেন এবং বিউটেনের মিশ্রণকে শুষ্ক করে 15 উষ্ণতায় চাপে 1.6-1.7 atm তরলীভূত করা হয়। এ তরলীভূত মিশ্রণকে সিলিন্ডারে ভর্তি করে গৃহস্থলী,শিল্প ও যানবাহনের জ্বালানী হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।সিলিন্ডারে ভর্তি করণের সময় উৎকৃষ্ট গন্ধযুক্ত মিথাইল(CH3-SH) এবং মিথাইল (C2H5-SH)ম্যারক্যাপটান ‍মিশ্রিত করা হয় যাতে সিলিন্ডার হলে গন্ধ থেকে তা বুঝা যায় ।ব্যাবহারের সময় সিলিন্ডারের রেগুলেটর খুললে চাপ হ্রাস পায় LPG আকারে বের হয়ে আসে এবং অগ্নিসংযোগ করে জ্বালানী হিসাবে ব্যাবহার করা যায়।

≥ প্রশ্ন-CNG(Compressed Natural Gas)কী?

উত্তর: প্রকৃতিক গ্যাস থেকে আহরিত 85-95 মিথেনযুক্ত,ইথেন এবং অন্যান্য হাইড্রোকার্বন সহ গ্যাসের মিশ্রনকে CNG বলে।এটি সস্তা এবং অধিক পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় উচ্চ চাপে সংকুচিত করে যানবাহনে জ্বালানী হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।

≥ প্রশ্ন-LPG(Liquefied Natural Gas):

উত্তর: প্রকৃতিক গ্যাসকে সাধারন বায়ুচাপে এবং -160 তাপমাত্রা শীতল করলে এটি তরলে পরিনত হয় যাকে LPG বলে।এটিও সিলিন্ডারে ভর্তি করে পরিবেশ বান্ধাব জ্বালানী হিসাবে ব্যাবহার করা হয় ।

≥ প্রশ্ন-বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্যালরিফিক মান কত?

উত্তর: বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্যালরিফিক 1006 BTU মান থেকে 1062 BTU পর্যন্ত ।

≥ প্রশ্ন-BGFCL এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর: BGFCL এর পূর্ণরূপ হলো-Bangladesh Gas Fields Corporation Ltd .

≥ প্রশ্ন-SGFL এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর SGFCL এর পূর্ণরূপ হলো- Sangu Gass Field Corporation Ltd.

≥ প্রশ্ন-BCIC-এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর: BCIC-এর পূর্ণরূপ হলো- Bangladesh Chemical Industries Corporation.

বাংলাদেশের কয়লা ক্ষেত্র, কয়লার মান ব্যবহার

≥ প্রশ্ন-জ্বালানি বলতে কী বুঝ?

উত্তর: যে সকল জৈব বা অজৈব যৌগ দহনের ফলে ব্যবহারযোগ্য শক্তি পাওয়া যায় তাদের জ্বালানি বলে।

≥ প্রশ্ন-কয়লা কী ?

উত্তর: কয়লা হলো 70% এর বেশি অঙ্গারময় (Carbonaceous) পদার্থ এবং দাহ্য এক শ্রেণীর শিলা, ভূগর্ভের তাপ ও চাপের সাহায্যে যা উদ্ভিদের জারণকৃত ফসিল রুপে সৃষ্টি।

≥ প্রশ্ন-কয়লার দহন মান বা ক্যালরিফিক মান কী ?

উত্তর: কয়লার মান তার দহন মান দ্বারা নির্ধারিতহয়। এক পাউন্ড কয়লা পোড়ালে যত ক্যালরি তাপ উৎপন্ন হয় সেটাই কয়লার দহন মান বা ক্যালরিফিক মান মান। এর মান সাধারণত BTU(British Thermal Unite) এককে প্রকাশ করা হয়।

1BTU = 252cal

≥ প্রশ্ন-কয়লার BTU কী?

উত্তর: এক পাউন্ড কয়লা পোড়ালে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, তাকে সে কয়লার তাপ উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয় এবং একে ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট ((British Thermal Unite = BTU) এককে প্রকাশ করলে যে ক্যালরিফিক মান পওয়া যায় তাকে কয়লার BTU বলে।

≥ প্রশ্ন-ফ্লাই অ্যাশ কী?

উত্তর: ফ্লাই অ্যাশ হলো একধরনের সূক্ষ্ম কণা, যা কয়লার দহনের সময় flu-গ্যাস হিসেবে নিঃসৃত হয়।

≥ প্রশ্ন-স্থির কার্বন বা Fixed কার্বন কী ?

উত্তর: যে কার্বন অন্য মৌলিক পদার্থের সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে থাকে না তাকে স্থির কার্বন বা Fixed কার্বন বলে। স্থির কার্বন বা Fixed কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে কয়লার মানও বৃদ্ধি পায়। উচ্চ মানের অ্যানথ্রাসাইট কয়লায় Fixed কার্বনের পরিমাণ সর্বোচ্চ প্রায় 96% এবং নিম্ন মানের লিগনাইট Fixed কার্বনের পরিমাণ সর্বনিম্ন 38% প্রায় হতে পারে ।

◊ ইউরিয়া উৎপাদনের মূলনীতি ◊

≥ প্রশ্ন-প্রিলিং কী?

উত্তর: গলিত ইউরিয়াকে দানাদার ইউরিয়ায় পরিণত করার প্রক্রিয়াকে প্রিলিং বলে ।

≥ প্রশ্ন-তরল অ্যামোনিয়ার ব্যবহার লিখ।

উত্তর: তরল অ্যামোনিয়া খুব নিম্ন তাপমাত্রা (-33°C) সৃষ্টি করতে পারে বিধায় এটি বরফ তৈরিতে এবং পচনশীল দ্রব্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় ।

◊ কাচ উৎপাদনের ◊

≥ প্রশ্ন-কাচ কী ?

উত্তর: ‍সিলিকা বা কোয়ার্টজের(SiO2) সঙ্গে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO3) এবং সোডিয়াম কার্বোনেট (Na2CO3) অথবা পটাশিয়াম কার্বোনেট (K2CO3)  কে মিশিয়ে মিশ্রণ কে সম্পূর্ণভাবে গলিয়ে শীতল করা হলে যে শক্ত, অনিয়তাকার স্বচ্ছ বা প্রায় স্বচ্ছ ও ভঙ্গুর কঠিন পদার্থ পাওয়া যায় তাকে কাঁচ বলে।

≥ প্রশ্ন-কুলেট কী?

উত্তর: কাচ তৈরির সময় কাঁচামাল হিসেবে যে পরিত্যক্ত বা ভাঙ্গা কাচ ব্যবহার করা হয় তা কুলেট নামে পরিচিত।

≥ প্রশ্ন-ব্যাচ কী?

উত্তর: কাচ উৎপাদনের কাঁচামালগুলোকে চূর্ণ করে প্রয়োজনীয় অনুপাতে মিশিয়ে যে মিশ্রণ তৈরি করা হয় সে মিশ্রণকে ব্যাচ বলা হয়।

≥ প্রশ্ন-কোমলায়ন তাপমাত্রা কাকে বলে? |

উত্তরঃ আকৃতি দানের পর কাচ সামগ্রীকে গলন তাপের কাছাকাছি যে বিশেষ তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় তাকে কোমলায়ন তাপমাত্রা বলে ।

≥ প্রশ্ন-অ্যানেলিং কী?

উত্তর: কাচ শিল্পোৎপাদনে উত্তপ্ত কাচ সামগ্রীকে গলন তাপমাত্রা থেকে ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা করে স্বচ্ছ, শক্তিশালী ও সুষম ঘনত্ববিশিষ্ট কাচ সামগ্রীতে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে অ্যানেলিং বলে।

≥ প্রশ্ন-কাচের সাধার সংকেতটি লিখ?

উত্তর: কাঁচকে সাধারণত  নিম্নোক্ত সাধারন সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

xNa2O অথাবা xK2O  . yMO . 6SiO2

এখানে, x ও y হলো অক্সাইড অণুর সংখ্যা এবং M হলো দ্বিযোজী ধাতু (Mg, Ca, Ba এবংZn ইত্যাদি)।

≥ প্রশ্ন-ডলোমাইট কী?

উত্তর: ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ও ম্যাগনেসিয়ামের কার্বোনেটের সমনে মশ্রণকেই ডলোমাইট বলা হয় । ডলোমাইটের সাধারণ সংকেত হলো – MgCO3.CaCO3

◊ সিরামিক উৎপাদন ◊

≥ প্রশ্ন-সিরামিক কী?

উত্তর: উচ্চ তাপমাত্রায় ক্লে, ফেল্ডম্পার ও বালি থেকে উৎপন্ন কেলাসাকার বা অনিয়তাকার, অধাতব অজৈব পদার্থসমূহ বা মৃৎশিল্পজাত বস্তুকে সিরামিক বলে।

≥ প্রশ্ন-স্লিপ কী?

উত্তরঃ সিরামিক শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল এর সাথে পানি মিশ্রিত করে যন্ত্রের সাহায্যে মিশ্রণকে আলোড়িত করলে একটি তরল মিশ্রণ পাওয়া যায়, একে স্লিপ বলে।

≥ প্রশ্ন-পরিস্রাবক কেক কী?

উত্তরঃ সিরামিক উৎপাদনে প্রাপ্ত স্লিপকে পরিস্রাবক প্রেস মেশিনের সাহায্যে পানি অপসারণ করে যে নমনীয় পদার্থে পরিণত করা হয় সেটি পরিস্রাবক কেক নামে পরিচিত।

≥ প্রশ্ন-বিস্কুট কী?

উত্তর: মুলাইট (3Al2O3 . 2SiO2) এবং ক্রিস্টোবেলাইট [n(4nSiO2)] এর মিশ্রণ বিস্কুট বলে।

≥ প্রশ্ন-গ্লেজিং কী ?

উত্তর: যে পদ্ধতিতে  সছিদ্র সিরামিক সামগ্রীকে গ্লেজিং পদার্থ (CaO, Al2O3, Na2O, PbO, B2O3) দ্বারা গ্লেজ করে মসৃন ও চকচকে করা হয় তাকে গ্লেজিং বলে।

≥ প্রশ্ন-চায়না ক্লে এর সংকেত লিখ?

উত্তর: Al2O3.2SiO2.2H2O

≥ প্রশ্ন-পটাশ ফেল্ডম্পার/ সোডিয়াম ফেল্ডম্পার এবং লাইম  ফেল্ডম্পারের সংকেত লিখ?

উত্তর: K2O.Al2O3.6H2O / Na2O.Al2O3.6H2O / CaO.Al2O3.6H2O

◊ সিমেন্ট  উৎপাদন  ◊

≥ প্রশ্ন-সিমেন্ট  কী ?

উত্তর: সিলিকা,অ্যালুমিনা ও আয়রন অক্সাইডের মিশ্রণকে উচ্চ তাপে উত্তপ্ত করলে যে চূর্ণাকার পদার্থ পাওয়া যায়, যা পানির উপস্থিতিতে বাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জমাট বেঁধে পাথরের ন্যায় কঠিন পদার্থে পরিণত হয় তাকেই সিমেন্ট বলে।

≥ প্রশ্ন-র্পোটল্যান্ড সিমেন্ট কী ?

উত্তর: বিভিন্ন সংযুতির ক্যালসিয়াম  অ্যালুমিনেট ও ক্যালসিয়াম সিলিকের  মিহি চূর্ণ মিশ্রণ যা পানের উপস্থিতিতে জমাট দৃঢ় ও শক্ত কর্ঠিন পদার্থে পরিণত হয় তাকে র্পোটল্যান্ড সিমেন্ট বলে।

≥ প্রশ্ন-র-মিল কী ?

উত্তর: শুস্ক পদ্ধতিতে ক্যালসিয়াম ঘটিত ও মাটি জাতীয় পদার্থকে  আলাদাভাবে প্রথমে আবর্তক চূর্ণক ও পরে বল মিলে চূর্ণ করে মিহি কণায় পরিণত করা হয় এবং এরপর উপাদানগুলোকে পরিমাণমতো মিশিয়ে মিশ্রণকারী মিলের সাহায্যে যে সমস্বত্ত্ব মিশ্রণ তৈরি করা হয় তাকে র-মিল বলে ।

≥ প্রশ্ন-স্লারি কী?

উত্তর: সিক্ত পদ্ধতিতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ কাঁচামালকে প্রথমে আবর্তক চূর্ণক ও পরবর্তী ধাপে বল মিলের সহায়তায় মিহি চূর্ণে পরিণত করে প্রাপ্ত চূর্ণকে ওয়াস মিলে যন্ত্রে পানি দ্বারা ধৌত করে এই সিক্ত উপাদানের সাথে নির্দিষ্ট অনুপাতে অন্যান্য কাঁচামাল যোগ করে যে মিশ্রণ তৈরি করা হয় তাকে স্লারি (Slurry) বলে।

≥ প্রশ্ন-সিমেন্ট নূড়ি বা ক্লিংকর  কী ?

উত্তর:  অতি উচ্চ তাপমাত্রায় (1500°C) লাইম ও ক্লে পরষ্পর বিক্রিয়া করে 2CaO.SiO2, 3CaO.SiO2, 2CaO.Al2O3, 3CaO.Al2O3 এবং 4CaO.Al2O3. Fe2O3 উৎপন্ন করে। উচ্চ তাপমাত্রায়(1500°C) উক্ত পদার্থ গুলো গলে  ক্ষুদ্র আকারের শক্ত পাথরের ন্যায় ধূসর বর্ণের যে মিশ্রণ তৈরি করে তাকে সিমেন্ট নূড়ি বা ক্লিংকর বলে।

≥ প্রশ্ন-বক্সাইট কী?

উত্তর: বক্সাইট হলো অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক যার সংকেত- Al2O3.2H2O .

≥ প্রশ্ন-কপার পাইরাইটস কী?

উত্তর: কপার পাইরাইটস হলো কপারের আকরিক যার সংকেত- CuFeS2 .

◊ পাল্প পেপার উৎপাদনের  ◊

≥ প্রশ্ন-পাল্প বা মন্ড কী ?

উত্তর: কাঁঠ, বাঁশ এবং আঁখের ছোবড়া প্রভৃতিকে যান্ত্রিক বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাতকরণের করলে যে সেলুলোজ ফাইবার পাওয়া যায় তাকে পাল্প বা মন্ড বলে।

≥ প্রশ্ন-যান্ত্রিক পাল্প কী?

উত্তর: অল্প রেজিন বিশিষ্ট দীর্ঘ আঁশযুক্ত কাঠ ব্যবহার করে নিউজপ্রিন্ট কাগজ উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় যান্ত্রিক পাল্প ।

≥ প্রশ্ন-ব্ল্যাক লিকার কী?

উত্তর: পাল্প উৎপাদনে ডাইজেস্টারে কুকিং শেষে প্রাপ্ত বাদামী বর্ণের দ্রবণকে ব্ল্যাক লিকার বলে ।

≥ প্রশ্ন-কুকিং লিকার কী ?

উত্তর: 27.17% Na2S, 58.6% NaOH ও 14.3% Na2CO3 এর মিশ্রণ কে কুকিং লিকার বলে।

◊ চামড়া ট্যানিং ◊

≥ প্রশ্ন-চামড়া কী ?

উত্তর: যে সকল প্রাণীর ত্বক প্রক্রিয়াজাতকরেনের পর সেটি নমনীয়তা বা প্রসারনশীলতা,স্থিতিশীলতা এবং পানি নিরোধক বৈশিষ্ট অর্জন করে তাদের চামড়া বলে।

≥ প্রশ্ন-ট্যানিং কী ?

উত্তর: চামড়াকে রোগ জীবাণু মুক্ত করে, চামড়ার গুণাবলি অক্ষুন্ন রেখে, চামড়াকে পাকা করে দীর্ঘদিন ব্যাবহার উপযোগী করে তোলার পদ্ধতিকে ট্যানিং বলে।

≥ প্রশ্ন-চামড়া ট্যানিং কাকে বলে?

উত্তর: ট্যানিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যার দ্বারা কিছু রাসায়নিক দ্রব্য (ট্যানিং এজেন্ট) এর উপস্থিতিতে কাঁচা চামড়াকে পাকা চামড়ায় স্থায়ীভাবে রূপান্তর করা হয়।

≥ প্রশ্ন-ক্রোম ট্যানিং কী? |

উত্তর: ক্রোমিয়াম (III) সালফেট বা ক্রোমিক এসিডের মাধ্যমে চামড়াকে ট্যানিং করার প্রক্রিয়াকে ক্রোম ট্যানিং বলে ।

≥ প্রশ্ন-Milk of lime কী?

উত্তর: Milk of lime হলো স্ন্যাকেডলাইম বা কলিচুন যার সংকেত- Ca(OH)2 .

≥ প্রশ্ন-মিনারেল ট্যানিং কাকে বলে ?

উত্তর: চামড়ার মূল রাসায়নিক উপাদান কোলাজেন তন্তুর সাথে ক্রোমিয়াম লবণের (Mineral Salt) Cr এর ক্রস-সংযোগের মাধ্যমে কাচা চামড়া থেকে পাকা চামড়া প্রস্তুতকরণের প্রক্রিয়াকে মিনারেল ট্যানিং বলে ।

≥ প্রশ্ন-পিকলিং কী?

উত্তর: খনিজ ট্যানিং-এ চামড়াকে NaCl ও H2SO4 এর জলীয় দ্রবণে সিক্ত করে ক্রোম ট্যানিং এর উপযোগী করে তোলাই হলো পিকলিং।

≥ প্রশ্ন-বীম হাউজ অপারেশন কী?

উত্তর: চামড়ার প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় কিউরিং ও ট্যানিং এর মধ্যবর্তী ধাপগুলো ( লাইমিং, ডিলাইমিং, পিকলিং) কে বীম হাউজ অপারেশন বলা হয় ।

সিমেন্ট, ইউরিয়া, চামড়া, টেক্সটাইল ডায়িং শিল্পের দূষকসমূহ ◊

≥ প্রশ্ন-সিলোকোসিস কী ?

উত্তর: সিমেন্ট কারখানায় উৎপন্ন SiO2 এর ধুলিকণার ফলে কারখানার শ্রমিক ও আশে পাশের লোকজনের ফুসফুসের যে রোগ হয় সেটাই সিলোকোসিস নামে পরিচিত।

≥ প্রশ্ন-ক্লোরোসিস কী?

উত্তর: SO2,  CO2 এবং অন্যান্য দৃষকের কারণে উদ্ভিদের পাতার সবুজ রঞ্জক ক্লোরোফিলের বিরঞ্জন ঘটে এবং পাতার বিভিন্ন স্থানে ফ্যাকাশে সবুজ বা হলুদ বর্ণের দাগ সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা ক্লেরোসিস নামে পরিচিত।

≥ প্রশ্ন-বায়ু দূষণ কী?

উত্তর: প্রাকৃতিক (যেমন দাবানল, আগ্নেয়গিরির অগ্নৎপাত, উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের প্রাকৃতিক জীব ভাঙ্গন, প্রভৃতি) এবং মনুষ্য সৃষ্ট প্রক্রিয়ার (যেমন- শিল্প কারখানা, পরিবহণ ইত্যাদি) মাধ্যমে উৎপন্ন পদার্থসমূহ বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদসহ বিভিন্ন সম্পদের ক্ষতিসাধন করার প্রক্রিয়াকে বায়ু দূষণ বলে।

◊ ইটিপির কার্যপ্রণালীর মূলনীতি (তড়িৎ বিশ্লেষণ, প্রভাবন ও জীব প্রযুক্তি

≥ প্রশ্ন-ইটিপি কী ?

উত্তর:  যে প্রক্রিয়ায় কারখানার বর্জ্য পানি পরিশোধন করা হয় তাকে Effluent Treatment Plant (ETP) বলে।

≥ প্রশ্ন-প্রভাবকীয় রূপান্তর কাকে বলে?

উত্তর: বিভিন্ন দহন ক্রিয়ায় উৎপন্ন ক্ষতিকর গ্যাসীয় পদার্থসমূহকে প্রভাবকীয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত ক্ষতিকর কম উৎপাদে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবকীয় রূপান্তর বলে ।

≥ প্রশ্ন-প্লাস্টিকের প্রধান কাঁচামাল কী?

উত্তর: প্লাস্টিকের প্রধান কাঁচামাল হলো-পেট্রোকেমিক্যালস ।

≥ প্রশ্ন-বায়োডিগ্রেডেবল পদার্থ কাকে বলে?

উত্তর: যে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ মাইক্রো অর্গানিজম বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পচন ক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙ্গে যায়, তাদেরকে বায়ো ডিগ্রেডেবল পদার্থ বলে ।

আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, কপার, কাচ, পেপার প্লাস্টিকের রিসাইকেল প্রণালী

≥ প্রশ্ন- বিসাইকেল কী?

উত্তর:  বিসাইকেল ব্যবহার অযোগ্য বস্তুকে যে প্রক্রিয়ায় ব্যবহার যোগ্য বস্ততে পরিণত করা হয় তাকে রিসাইকেল বা পুনঃচক্ৰায়ন বলা।

অথবা,

কোনো পুরাতন ব্যবহার অযোগ্য সামগ্রীকে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে পূর্বের ব্যবহৃত সামগ্রী অথবা অন্য ব্যবহার যোগ্য সামগ্রী পুনরায় প্রস্তুতির প্রক্রিয়াকে রিসাইকেল বা রিসাইক্লিং বলে।

≥ প্রশ্ন-Deinking বা কালিমুক্তকরণ প্রক্রিয়া কী?

উত্তর: ব্যবহৃত কাগজ পত্র / মোড়ক হতে রিসাইকেল পাল্প প্রস্তুতকালে ব্যবহৃত কাগজ হতে কালি মুক্ত করা হয়, এ পদ্ধতিকে Deinking বা কালিমুক্তকরণ বলে ।।

≥ প্রশ্ন-বিপাক কী ?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রকার খাদ্য উপাদান ব্যাকটেরিয়ার কোষে অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে CO2 এবং পানিসহ কতিপয় ছোট ছোট অণুতে পরিণত হয় এবং প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় পানিতে মিশে যায় সেই প্রক্রিয়াকে বিপাক প্রক্রিয়া বলে।

ইট খোলার বায়ু দূষণসমূহ

≥ প্রশ্ন-নেক্রোসিস কী?

উত্তর: SO2 এর প্রকটে গাছের পাতার কোষে গ্যাসের শোষণ বেড়ে যায়। ফলে কোষগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং পাতার কলাসংস্থান পুরো পুরি বিনষ্ট হয়। এ সমস্যা নেক্রোসিস নামে পরিচিত।

≥ প্রশ্ন-CCS কী?

উত্তর: CCS এর পূর্ণরূপ হলো-Carbon Capture and Sequestration.

≥ প্রশ্ন-FGD কী?

উত্তর: FGD এর অর্থ হলো- Flue Gas Desulfurization যার মাধ্যমে শিল্পজাত বর্জ্য গ্যাস থেকে SO2 অপসারণ করা হয়।

 ◊ ন্যানো পার্টিক্যাল ন্যানো প্রযুক্তি ◊

≥ প্রশ্ন-ন্যানো প্রযুক্তি কী ?

উত্তর: ন্যানো প্রযুক্তি বলতে ন্যানো স্কেলভিত্তিক যেমন: 1 nm থেকে 100 nm এর কম দৈর্ঘ্যের কণাবস্তুর ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি এবং এদের প্রস্তুতির প্রযুক্তি বিজ্ঞানকে বোঝায়।

≥ প্রশ্ন-ন্যানো পার্টিকেল কী?

উত্তর: যে সকল কণার দৈর্ঘ্য 1-100 nm সেগুলোকে ন্যানো পার্টিকেল বলে ।

≥ প্রশ্ন-সূক্ষ্ম বস্তুকণা কী?

উত্তর: 100 – 2,500 nm আকার বিশিষ্ট কণাসমূহকে সূক্ষ্ম বস্তুকণা বলা হয়।

≥ প্রশ্ন-ENP কী?

উত্তর: ENP এর পূর্ণরূপ হলো- Engineered Nanoparticle বা প্রযুক্তিগতভাবে তৈরি ন্যানো পার্টিকেল ।

≥ প্রশ্ন-কার্বন ন্যানো টিউব কী?

উত্তর: কার্বন ন্যানো টিউব হলো কার্বনের সিলিন্ডার আকৃতির রূপভেদ।

≥ প্রশ্ন-ফুলারিস কী?

উত্তর: কার্বন পরমাণু sp2 সংকরিত অবস্থায় 30-70 টি পরস্পর সমযোজী বন্ধনে যুক্ত হয়ে যে বিভিন্ন আকৃতির রূপভেদসমূহ গঠন করে, তাদের ফুলারিস বলে।

≥ প্রশ্ন-গ্রাফিন কী?

উত্তর: গ্রাফিন হলো কার্বন ন্যানো  টিউব যা কার্বনের এক স্তরবিশিষ্ট  ও  এর গঠন গ্রাফাইট শীটের মতো এবং ইস্পাত অপেক্ষা প্রায় 100 গুণ শক্ত।

≥ প্রশ্ন-এরোসল কী ?

উত্তর: 0.00002 m থেকে 500 m ক্ষুদ্রতম ব্যাসের কণাগুলোকে এরোসল বলে।

 

 

 

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *