বায়ুমন্ডলের উপাদান
প্রশ্ন-» ঘূণিঝড় বা সাইক্লোন কী ?
উত্তর: উচ্চ চাপ অঞ্চল থেকে নিম্ন চাপ কেন্দ্রের দিকে আকষ্মিক, অনিয়মিত ঘূর্ণায়মান প্রচন্ড বায়ু প্রবাহকে ঘূণিঝড় বা সাইক্লোন বলে ।
প্রশ্ন-» জলোচ্ছ্বাস কী ?
উত্তর: ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট প্রচন্ড গতির বায়ুর তাড়নায় বা সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প, ভুমিধ্বস ও আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সমুদ্রের জলরাশি উত্তাল হয়ে ফুলে উঠে, বড় বড় ঢেউ সহ স্ফীত জলরাশি প্রচন্ড গতিতে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পরে ইহাই জলোচ্ছাস।
প্রশ্ন-» কোরিওলিস বল কী ?
উত্তর: পৃথিবী তার নিজ অক্ষে এবং নিজ ক্ষপথে ঘূর্ণায়মান, ফলে পৃথিবী ঘূর্ণনের সাথে সাথে বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাকে কোরিওলিস প্রভাব বলে। কোরিওলিস প্রভাবের কারনে যে বল ঘূণিঝড়কে প্রভাবিত করে, তাকে কোরিওলিস বল বলে ।
বয়েলের সূত্র ও চার্লসের সুত্র
উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট ভরের কোন গ্যাসের আয়তন তার উপর প্রযুক্ত চাপের ব্যাস্তানুপাতিক।
প্রশ্ন-» কেলভিন স্কেলে চার্লসের সূত্রটি লিখ ?
উত্তর: স্থির চাপে নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের আয়তন এর পরম তাপমাত্রা বা কেলভিন তাপমাত্রার সমানুপাতিক।
প্রশ্ন-» সেন্ট্রিগ্রেড স্কেলে চার্লসের সূত্রটি কী?
উত্তর: স্থির চাপে নিদিষ্ট ভরবিশিষ্ট কোন গ্যাসের আয়তন প্রতি ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বা হ্রাসে তার 0°C তাপমাত্রা আয়তনের 1/273.15 অংশ বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়।
প্রশ্ন-» সমচাপ বা সমপ্রেষ বা আইবারিক (isobaric process) প্রক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর: স্থির চাপে কোনো গ্যাসের আয়তন ও তার পরম তাপমাত্রার বিপরীতে লেখচিত্র অঙ্কন করলে একটি মূলবিন্দুগামী সরলরেখা পাওয়া যায়, এই প্রক্রিয়াটিকে সমচাপ বা সমপ্রেষ প্রক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-» সমচাপ রেখা বা সমপ্রেষ রেখা বা আইবারিক (isobaric curve) রেখা কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট চাপে নির্দিষ্ট ভরের কোন গ্যাসের তাপমাত্রার পরিবর্তন করে এবং ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রায় ঐ গ্যাসের আয়তন লিপিবদ্ধ করে চিত্র অংকন করলে যে রেখাগুলো পাওয়া যায় তাকে সমচাপ রেখা বা সমপ্রেষ রেখা বা আইবারিক রেখা বলে ।
প্রশ্ন-» সমতাপীয় বা আইসোথার্মাল (isothermal process) প্রক্রিয়া কাকে বলে ?
উত্তর: স্থির তাপমাত্রায় কোনো গ্যাসের আয়তন (V) ও তার চাপের (P-1) বিপরীতে লেখচিত্র অঙ্কন করলে একটি মূলবিন্দুগামী সরলরেখা পাওয়া যায়, এই প্রক্রিয়াটিকে সমতাপীয় বা আইসোথার্মাল প্রক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-» সমতাপ রেখা বা আইসোথার্মা (isothermal) রেখা কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট ভরের কোন গ্যাসের চাপ পরিবর্তন করে এবং ভিন্ন ভিন্ন চাপে ঐ গ্যাসের আয়তন লিপিবদ্ধ করে চিত্র অংকন করলে যে রেখাগুলো পাওয়া যায় তাকে সমতাপ রেখা বা আইসোথার্মা (isothermal) রেখা বলে ।
প্রশ্ন-» কেলভিন স্কেল কাকে বলে?
উত্তর: পরমশূন্য তাপমাত্রাকে (-273°C) শুন্য ধরে প্রতি ডিগ্রিকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের সমান ধরে বিজ্ঞানী লর্ড কেলভিন তাপমাত্রার যে নতুন স্কেল প্রণয়ন করেন, তাকে তাপমাত্রার কেলভিন স্কেল বা পরম স্কেল বলে।
প্রশ্ন-» পরম তাপমাত্রা স্কেল কী?
উত্তর: -273 °C তাপমাত্রাকে 0 K ধরে তাপমাত্রার যে স্কেল বিবেচনা করা হয় তাকে পরম তাপমাত্রা স্কেল বলে।
প্রশ্ন-» পরম শূন্য তাপমাত্রা কী ?
উত্তর: কল্পনাযোগ্য সর্বনিম্ন যে তাপমাত্রায় সকল গ্যাসের আয়তন তত্বীয়ভাবে শূন্য হয়ে যায় , তাকে পরম শূন্য তাপমাত্রা বলে ।
প্রশ্ন-» সেলসিয়াস স্কেল ও কেলভিন স্কেল সমন্বিত সমীকরণটি কী?
উত্তর: সেলসিয়াস স্কেল ও কেলভিন স্কেল সমন্বিত সমীকরণটি হলো °C = (273+t) K
মোল,মোলার আয়তন ও অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যা
প্রশ্ন-» অ্যাভোগেড্রোর সূত্রটি কী?
উত্তর: স্থির তাপমাত্রা ও চাপে সম-আয়তনের সকল গ্যাসে সমান সংখ্যক অণু থাকে।
প্রশ্ন-» অ্যাভোগেড্রো সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: সকল পদার্থের এক মোলে নির্দিষ্ট সংখ্যক অণু বা পরমাণু বা আয়ন থাকে, এ সংখ্যাকে অ্যাভোগেড্রো সংখ্যা বলে।
প্রশ্ন-» মোলার আয়তন কী?
উত্তর: কোন গ্যাসের এক মোল কর্তৃক দখলকৃত আয়তনকে মোলার আয়তন বলে।
প্রশ্ন-» প্রমাণ তাপমাত্রা কী?
গে-লুসকের চাপীয় সূত্র
প্রশ্ন-» গে-লুসকের চাপীয় সূত্রটি লিখ?
উত্তর: স্থির আয়তনে কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের চাপ কেলভিন তাপমাত্রার সমানুপাতিক ।
প্রশ্ন-» সমআয়তনীয় বা আইসোকার (isochore process) প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: স্থির আয়তনে কোনো গ্যাসের চাপ ও তার পরম তাপমাত্রার বিপরীতে লেখচিত্র অঙ্কন করলে একটি মূলবিন্দুগামী সরলরেখা পাওয়া যায়, এই প্রক্রিয়াটিকে সমআয়তনীয় বা আইসোকার প্রক্রিয়া প্রক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-» সমআয়তনীয় বা আইসোকার (isochore process) রেখা কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট আয়তনে নির্দিষ্ট ভরের কোন গ্যাসের তাপমাত্রার পরিবর্তন করে এবং ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রায় ঐ গ্যাসের চাপ লিপিবদ্ধ করে চিত্র অংকন করলে যে রেখাগুলো পাওয়া যায় তাকে সমআয়তনীয় বা আইসোকার (isochore process) রেখা বলে ।
প্রশ্ন-» STP কী ?
উত্তর: Standard Temperature Pressure ( 0°C বা 273 K তাপমাত্রা ও 1atm ev 101.325 KPa চাপে আয়তন 22.414L)
প্রশ্ন-» NTP কী ?
উত্তর: Normal Temperature Pressure( 20°C বা 293 K তাপমাত্রা ও 1atm বা 101.325 KPa চাপে আয়তন 24.0548L)
প্রশ্ন-» SATP কী ?
উত্তর: Standard Ambient Temperature Pressure ( 25°C বা 273 K তাপমাত্রা এবং 100KPa চাপে আয়তন 22.789L)
প্রশ্ন-» বোল্টম্যান ধুবক কী?
উত্তর: অণু প্রতি মোলার গ্যাস ধ্রূবকের জন্য প্রাপ্ত মানকে বোল্টজম্যান ধ্রূবক (k) বলে।
ডাল্টনের আংশিক চাপ সূত্র
প্রশ্ন-» ডাল্টনের আংশিক চাপ সূত্রটি লেখ।
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় পরস্পর বিক্রিয়াহীন দুই বা ততোধিক গ্যাসের একটি মিশ্রণের মোট চাপ মিশ্রণে উপস্থিত উপাদান গ্যাসসমূহের আংশিক চাপের সমষ্টির সমান ।
প্রশ্ন-» আংশিক চাপ কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট উষ্ণতায় পরস্পর বিক্রিয়াহীন দুই বা ততোধিক গ্যাসের একটি মিশ্রণের যে কোনো একটি উপাদান গ্যাস মিশ্রনের সমস্ত আয়তন একাকী দখল করে যে চাপ প্রয়োগ করে তাকে ঐ উপাদান গ্যাসের আংশিক চাপ বলে।
প্রশ্ন-» মোল ভগ্নাংশ কী?
উত্তর: গ্যাস মিশ্রণে কোনো একটি উপাদানের মোল সংখ্যাকে উক্ত মিশ্রণের উপাদানের মোট মোল সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায় তাকে সে উপাদান গ্যাসের মোল ভগ্নাংশ বলে।
গ্রাহামের ব্যাপন সূত্র
প্রশ্ন-» গ্রাহামের গ্যাস ব্যাপন সূত্রটি কী?
উত্তর: স্থির তাপমাত্রা ও চাপে যে কোনো গ্যাসের ব্যাপনের হার তার ঘনত্বের বর্গমূলের বিপরীত অনুপাতে পরিবর্তিত হয়।
প্রশ্ন-» ব্যাপন বা ব্যাপ্তি (Diffusion) কী ?
উত্তর: অসম ঘনত্ব বিশিষ্ট বিক্রিয়াহীন একটি গ্যাস বা তরল অপর একটি গ্যাস বা তরলের ভেতরে স্বাভিক ও স্বতস্ফূর্ত ভবে অনুপ্রবেশকে ব্যাপন বা ব্যাপ্তি বলে ।
প্রশ্ন-» অনুব্যাপন বা নিঃসরণ (Effusion) কী ?
বাহ্যিক চাপের প্রভাবে সূরু ছিদ্র মধ্য দিয়ে উচ্চ চাপ এলাকার কোন গ্যাস বা তরল পদার্থ নিম্ন চাপ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে অনুব্যাপন বা নিঃসরণ বলে ।
গ্যাসের গতিতত্ত্ব
প্রশ্ন- প্রশ্ন-» গ্যাসের গতিতত্ত্ব কী?
উত্তর: গ্যাসসমূহের সাধারণ ভৌত ধর্মসমূহ ব্যাখ্যার জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানী যে মতবাদ ব্যক্ত করেন, তাদের সমষ্টিগত রূপকে গ্যাসের গতিতত্ত্ব বলে।
প্রশ্ন- প্রশ্ন-» গ্যাসের গতীয় সমীকরণ কী? |
উত্তর: গ্যাসের গতীয় তত্ত্বের স্বীকার্যগুলোর উপর ভিত্তি করে গ্যাসের চাপ সংক্রান্ত যে সমীকরণটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা গ্যাসের গতীয় | সমীকরণ নামে পরিচিত। সমীকরণটি হলো PV= 1/3mNC2 .
প্রশ্ন-» গড় বেগ( Average velocity ) কী ?
উত্তর: কোন গ্যাসের অনুসমূহের বিভিন্ন গতিবেগের গড়কে সে গ্যাসের অনুসমূহের গড় গতিবেগ বা গড় বেগ বলে ।
প্রশ্ন-» বর্গমূল গড় বর্গ গতিবেগ (RMS-Velocity or Root Mean Square Velocity) কী ?
উত্তর: কোন গ্যাসের অনুসমূহের বিভিন্ন গতিবেগের বর্গের গড় মানের বর্গমূল কে সে গ্যাসটির অনুসমূহের বর্গমূল গড় বর্গ গতিবেগ বা RMSবেগ বলে ।
প্রশ্ন-» সম্ভর্য(Most Probale Velocity) বেগ কী ?
উত্তর: কোন গ্যাসের অনুসমূহের বিভিন্ন গতিবেগের মধ্যে যে বেগটি বেগটি সর্বাধিক অনুর মধ্যে বর্তমান তাকে সম্ভর্য বেগ বলে ।
প্রশ্ন-»গড় মুক্ত পথ কী?
উত্তর: দুইটি সংঘর্ষের মধ্যবর্তী দূরত্বসমূহের গড় মানকে গ্যাস অণুর গড়মুক্ত পথ বলে।
আদর্শ গ্যাস ও বাস্তব গ্যাস
প্রশ্ন-১০১.আদর্শ গ্যাস কী ?
উত্তর: যে সকল গ্যাস সকল তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাস সূত্র সমূহ তথা বয়েলের সূত্র, চালর্স সূত্র ও অ্যাভোগাড্রো সূত্রসমূহ মেনে চলে অর্থাৎ PV = nRT সমীকরন মেনে চলে তাই আদর্শ গ্যাস ।
প্রশ্ন-» বাস্তব গ্যাস কী ?
উত্তর: যে সকল গ্যাস সকল তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাস সূত্র সমূহ তথা বয়েলের সূত্র, চালর্স সূত্র ও অ্যাভোগাড্রো সূত্রসমূহ মেনে চলে অর্থাৎ PV = nRT সমীকরন মেনে চলে না তাই আনদর্শ বা বাস্তব গ্যাস।
প্রশ্ন-» অ্যামাগা বক্র কী ?
উত্তর: বিজ্ঞানী অ্যামাগা স্থির তাপমাত্রায় বিভিন্ন চাপে বাস্তব গ্যাসের আয়তন মেপে লেখচিত্রে P এর বিপরীতে PV এর মান বসিয়ে কিছু বক্র রেখা লক্ষ্য করা করেন । এই ধরনের রেখা সমূহকে অ্যামাগার বক্র বলে ।
প্রশ্ন-» সংকোচনশীলতা গুণাঙ্ক বা সংনম্যতা গুনক (Compressibility Factor of Gass) কী ?
উত্তর: কোন গ্যাসের চাপ ও আয়তনের গুনফল কে ঐ গ্যাসের তাপমাত্রা ও মোলার গ্যাস ধ্রূবকবকের গুণফল দ্বারা ভাগ করলে যে গুণক পাওয়া যায় তাকে সংকোচনশীলতা গুণাঙ্ক বা সংনম্যতা গুনক বলে ।
প্রশ্ন-» বয়েলের তাপমাত্রা কী ?
উত্তর: যে তাপমাত্রায় চাপের একটি বৃহত্তর পরিসর পর্যস্ত কোন বাস্তব গ্যাস আর্দশ গ্যাসের মত আচরন করে সেই তাপমাত্রাকে বয়েলের তাপমাত্রা বলে।
প্রশ্ন-» উৎক্রমর তাপমাত্রা কী ?
উত্তর: উৎক্রম তাপমাত্রা প্রত্যেক গ্যাসের জন্য এমন একটি তাপমাত্রা যা অপেক্ষা নিম্ন তাপমাত্রায় গ্যাসটির বদ্ধ তাপীয় সম্প্রসারন ঘটলে তা শীতল হয় ।
প্রশ্ন-» ক্রান্তি তাপমাত্রা বা সন্ধি তাপমাত্রা বা সংকট তাপমাত্রা কী ?
উত্তর: প্রতিটি গ্যাসের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা আছে, যে তাপমাত্রার উপরে যতেষ্ট চাপ প্রয়োগ করলেও কোন গ্যাসীয় পদার্থকে তরলে পরিণত করা যায় না কিস্তু ঐ তাপমাত্রায় বা তার নিচে যেকোন তাপমাত্রায় ঐ গ্যাসকে চাপ প্রয়োগ করলেই সহজেই তরলে পরিণত হয়, সেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা কে পর্দাথের ক্রান্তি তাপমাত্রা বা সন্ধি তাপমাত্রা বা সংকট তাপমাত্রা বলে ।
প্রশ্ন-» ক্রান্তি চাপ বা সন্ধি চাপ বা সংকট চাপ কী ?
উত্তর: 1 mol পরিমান কোন গ্যাসকে তার ক্রান্তি বা সন্ধি বা সংকট তাপমাত্রায় তরলিত করতে যে চাপ প্রয়োগ করতে হয় তাকে সেই পর্দাথের ক্রান্তি চাপ বা সন্ধি চাপ বা সংকট চাপ বলে ।
প্রশ্ন-» ক্রান্তি আয়তন বা সন্ধি আয়তন বা সংকট আয়তন কী ?
উত্তর: ক্রান্তি চাপ ও ক্রান্তি তাপমাত্রায়1 mol পরিমান কোন গ্যাসের আয়তনকে ক্রান্তি আয়তন বলে ।
আদর্শ আচরণ হতে বাস্তব গ্যাসের বিচ্যুতির কারণ ও ভ্যান্ডার ওয়ালস সমীকরণ
বজপাতের সময় বায়ুমণ্ডলে সংঘটিত বিক্রিয়া ও মাটিতে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন
উত্তর: যে এক গুচ্ছ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় নাইট্রোজেন ও তার বিভিন্ন যৌগ পরিবেশ ও জীবন্ত অর্গনিজমের মধ্যে আন্ত:রুপান্তরিত হয় তাকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।
প্রশ্ন-» নাইট্রোজেন ফিক্সেশন কি ?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলীয় নাইট্রোজেন NH3 ও অন্যান্য যৌগে রুপান্তারিত হয়ে উদ্ভিদে যুক্ত হয় তাকে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বলে।
প্রশ্ন-» বজ্রপাত কী?
উত্তর: বৃষ্টির সময় মেঘে মেঘে প্রচণ্ড গতিতে সংঘর্ষ হলে তাকে বজ্রপাত বলে। বজ্রপাতের সময় ঐ স্থানের তাপমাত্রা প্রায় 3000°C হয়।
গ্রিনহাউজ গ্যাসের উৎস ও গ্রিনহাউজ প্রভাব
প্রশ্ন-» গ্রিন হাউজ গ্যাস কী?
উত্তর: বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত যেসব গ্যাসীয় পদার্থের আবরণ পৃথিবীকে আচ্ছাদনরূপে ঢেকে রেখে পৃথিবী পৃষ্ঠ হতে বিকিরিত তাপকে মহাশূন্যে ফিরে যেতে বাধা দেয় এবং ভূপৃষ্ঠ ও তৎসংলগ্ন বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত রাখে তাদেরকে গ্রিন হাউজ গ্যাস বলে।
প্রশ্ন-» CFC কী?
উত্তর: মিথেন ও ইথেনের ফ্লেরিন ও ক্লোরিনের জাতক সমূকে CFC (Chloroflourocarbon) বলে।
প্রশ্ন-» ফ্রেয়ন কী?
উত্তর: CFC-এর বাণিজ্যিক নাম ফ্রেয়নস। ক্লোরোফ্লোরো কার্বনসমূহকে সাধারণভাবে ফ্রেয়ন বলে।
প্রশ্ন-» ফসজিন গ্যাস কী?
উত্তর: CO সূর্যের আলোতে Cl2 এর সাথে বিক্রিয়ায় যে গ্যাস উৎপন্ন করে তাকে ফসজিন গ্যাস বলে। প্রশ্ন-» আরোক রাসায়নিক ধোঁয়াশা কী?
উত্তর: উদ্বায়ী জৈব যৌগসমূহ নাইট্রিক অক্সাইড ও সূর্য রশ্মির প্রভাবে যে ধোয়াশার সৃষ্টি হয় তাকে আলোক রাসায়নিক ধোঁয়াশা বলে।
প্রশ্ন-» বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কী?
উত্তর: বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ব জ্বালানী দহনের ফলে উৎপন্ন গ্যাসসমূহ বায়ুর দূষণ ঘটায় এবং বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটায়। এতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলে।
এসিড বৃষ্টির কারণ ও এর প্রতিকার
প্রশ্ন-» এসিড বৃষ্টি কী ?
উত্তর: বায়ুমন্ডলে অধঃক্ষেপন বৃষ্টিতে PH এর মান 5.6 এর কম হলে ঐ অধঃক্ষেপন বৃষ্টিকে এসিড বৃষ্টি বলে।
প্রশ্ন-» ক্লোরোসিস কী?
উত্তর: বায়ুমণ্ডলে দৃষকরূপে SOX এর উপস্থিতিতে উদ্ভিদের পাতার ক্লোরোফিল উৎপাদন-প্রক্রিয়া মন্দীভূত হওয়া এবং পাতার সবুজ রং লুপ্ত হওয়ার ঘটনাকে ক্লোরোসিস (Chlorosis) বলে।
আরহেনিয়াসের তত্ত্ব
প্রশ্ন-» অম্লধর্মী অক্সাইড কাকে বলে?
উত্তর: অধাতুর যে অক্সাইড ক্ষারের সাথে বিক্রিয়ায় লবণ গঠন করে, তাকে অন্নধর্মী অক্সাইড বলে । প্রশ্ন-» আরহেনিয়াস তত্ত্বানুসারে এসিড কী?
উত্তর: যেসব পদার্থ জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) দান করতে সক্ষম সে সকল পদার্থকে এসিড বলে।
প্রশ্ন-» আরহেনিয়াস তত্ত্বানুসারে ক্ষারক কী?
উত্তর: যেসব পদার্থ জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রেইড আয়ন (OH–) দান করতে সক্ষম সে সকল পদার্থকে ক্ষারক বলে |
প্রশ্ন-» এসিড-ক্ষার সংক্রান্ত আরহেনিয়াসের তত্ত্বটি লেখ ।
উত্তর: এসিড হলো H-যুক্ত যৌগ, যা জলীয় দ্রবণে H+ আয়ন য়ে এবং ক্ষারক হলো সেসব যৌগ যা জলীয় দ্রবণে OH– আয়ন দেয়।
ব্রনস্টেড–লাউরী তত্ত্ব ও অনুবন্ধী অম্ল–ক্ষারক
প্রশ্ন-» ব্রনস্টেড লাউরী মতবাদে অম্ল কী?
উত্তর: যেসব পদার্থ প্রোটন দান করতে সক্ষম তাদেরকে অম্ল বা এসিড বলে।
প্রশ্ন-» ব্রনস্টেড-লাউরী মতবাদে ক্ষারক কী?
উত্তর: যেসব পদার্থ প্রোটন গ্রহণে সক্ষম তাদেরকে ক্ষারক বলে।
প্রশ্ন-» মনোপ্রোটিক অল্প কী?
উত্তর: যে অম্ল মাত্র একটি প্রোটন দান করতে পারে তাকে মনোপ্রোটিক অল্প বলে।
প্রশ্ন-» মনোপ্রোটিক ক্ষারক কী?
উত্তর: যে ক্ষারক মাত্র একটি প্রোটন গ্রহণ করতে পারে তাকে মনোপ্রোটিক ক্ষারক বলে।
প্রশ্ন-» তীব্র ক্ষারক কী?
উত্তর: যে সকল ক্ষারক জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত অবস্থায় থাকে তাদেরকে তীব্র ক্ষারক বলে । প্রশ্ন-» মৃদু অম্ল কী?
উত্তর: যে সকল অম্ল জলীয় দ্রবণে সাধারণ ঘনমাত্রায় মাত্র 1-2% বিয়োজিত অবস্থায় থাকে, তাদেরকে মৃদু অম্ল বা এসিড বলে।
প্রশ্ন-» মৃদু ক্ষারক কী?
উত্তর: যে সকল ক্ষারক জলীয় দ্রবণে সাধারণ ঘনমাত্রায় খুব কম পরিমাণে বিয়োজিত থাকে, তাদেরকে মৃদু ক্ষারক বলে।
প্রশ্ন-» অম্নের ক্ষারকত্ব কাকে বলে?
উত্তর: কোনো অম্নে বিদ্যমান প্রতিস্থাপনীয় H এর সংখ্যাকে ঐ অম্নের ক্ষারকত্ব বলে।
প্রশ্ন-» ক্ষারের অম্লত্ব কাকে বলে?
উত্তর: কোনো ক্ষারে বিদ্যমান প্রতিস্থাপনীয় OH এর সংখ্যাকে ঐ ক্ষারের অম্লত্ব বলে।
প্রশ্ন-» অনুবন্ধী অম্ল কী?
উত্তর: কোনো অঞ্চ থেকে একটি পোটন অপসারণের ফলে যে ক্ষারক সৃষ্টি হয় তাকে সে অম্লের অনুবন্ধী ক্ষারক বলে
প্রশ্ন-» ক্ষারক কী?
উত্তর: কোনো ক্ষারকের। সাথে একটি প্রোটন সংযোগের ফলে যে অম্নের সৃষ্টি হয়, তাকে সে ক্ষারকের অনুবন্ধী অম্ল বলে ।
অম্ল–ক্ষারকের লুইস তত্ত্ব
প্রশ্ন-» লুইস মতবাদ অনুযায়ী ক্ষারক কী?
উত্তর: যেসব পদার্থ মুক্ত জোড় ইলেকট্রন গ্রহন করতে সক্ষম তাদেরকে লুইস মতবাদ অনুযায়ী ক্ষারক বলে।
প্রশ্ন-» লুইস মতবাদ অনুযায়ী ক্ষারক কী?
উত্তর: যেসব পদার্থ মুক্ত জোড় ইলেকট্রন দান করতে সক্ষম তাদেরকে লুইস মতবাদ অনুযায়ী ক্ষারক বলে।
মিঠা পানির উৎস ও গুরুত্ব
প্রশ্ন-» সারফেস ওয়াটার কী?
উত্তর: নদী-নালা, খাল-বিল, হ্রদ, পুকুর, ঝরণা, প্রভৃতির পানিকে সারফেস ওয়াটার বলে ।
প্রশ্ন-» বিশুদ্ধ পানি কী?
উত্তর: যে পানি স্বচ্ছ, বর্ণহীন, গন্ধহীন, যাতে কোনো ভাসমান জৈব কিংবা অজৈব পদার্থ থাকে না এবং যাতে কোনো রোগ জীবাণু নেই তাকে বিশুদ্ধ পানি বলে।
প্রশ্ন-» খরপানি পানি কী ?
উত্তর: মিঠা পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে দ্বিধনাত্মক ক্যাটায়ন যেমন Ca2+, Mg2+ ও Fe2+ আয়ন দ্রবীভূত থাকলে ঐ পানিকে খর পানি (hard water) বলা হয়।
প্রশ্ন-» পানির খরতা কী?
উত্তর: পানিতে অধিক পরিমাণে দ্বিধনাত্মক ক্যাটায়ন যেমন, Ca2+ আয়ন, Mg2+ আয়ন ও Fe2+ আয়নের উপস্থিতির কারণে সৃষ্ট পানির বিশেষ ধর্মকে পানির খরতা ধর্ম বলে।
প্রশ্ন-» পানির স্থায়ী খরতা কী?
উত্তর: পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের ক্লোরাইড, নাইট্রেট ও সালফেট লবণ দ্রবীভূত থাকলে পানির স্থায়ী খরতা সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন-» পানির অস্থায়ী খরতা কী?
উত্তর: ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম লবণ বাইকার্বনেট হিসেবে পানিতে উপস্থিত থাকলে তখন এটিকে পানির অস্থায়ী খরতা বলা হয়।
প্রশ্ন-» pH কী?
উত্তর: কোনো দ্রবণের হাইড্রোজেন (H+) আয়নের মোলার ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে ঐ দ্রবণের pH বলে । পানযোগ্য পানির pH সীমা 6.7-7.4।
প্রশ্ন-» DO কী?
উত্তর: নমুনা পানির অক্সিজেন সম্পৃক্তকরণে ঐ পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের (dissolved oxygen) এর পরিমাণকে ঐ পানির DO বলা হয়।
প্রশ্ন-» BOD বলে কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট পরিমাণ সারফেস ওয়াটারের নমুনায় থাকা দূষক জৈব বস্তুকে 20°C তাপমাত্রায় পাঁচদিন যাবৎ বায়জীবী জীবাণু বা, ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সম্পূর্ণ ডিগ্রেডেশন (biodegradable) বা পচনশীল জৈর বস্তুকে বিয়োজিত করতে পানির DO থেকে যে পরিমাণ O2 ব্যয়িত হয়, তাকে ঐ নমুনা পানির BOD বলে ।
প্রশ্ন-» COD কী?
প্রতি লিটার সারফেস ওয়াটারের নমুনায় থাকা দূষক পচনশীল জৈব বস্তু ও অপচনশীল জৈব যৌগকে সম্পূর্ণ জারিত করে CO2, NH3, H2S ও H2O তে পরিণত করতে যে পরিমাণ ভরের অক্সিজেন ঐ পানির DO থেকে দরকার হয়, তাকে ঐ পানির COD বলে ।
প্রশ্ন-» TDS কী?
কোনো নমুনা সারফেস ওয়াটারে থাকা সমগ্র দ্রবীভূত কঠিন বস্তু’ (Total dissolved solids) বা TDS এর মান দ্বারা ঐ নমুনা পানিতে থাকা জৈব ও অজৈব কলয়েডেল কণা, এর চেয়ে ছোট আণবিক ও আয়নিক সব পদার্থের সামগ্রিক পরিমাণকে বোঝনো হয়।
প্রশ্ন-» TOC কি?
উত্তর: TOC হলো Total Organic Carbon যা পানির বিশুদ্ধতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বিশুদ্ধ পানির TOC মাত্রা হলো 0.05mg/L।
প্রশ্ন-» TLV কী?
উত্তর: পরিবেশে উপস্থিত কোনো একটি দৃষক যে নির্দিষ্ট মাত্রা অতিক্রম করলে জীবজগতের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, সেই নির্দিষ্ট মাত্রাকে ওই দৃষকের নিরাপদ মাত্রা বা TLV (Threshold Limit Value) বলে।
প্রশ্ন-» পানি দূষণ কী?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো এক বা একাধিক ক্ষতিকারক বহিরাগত পদার্থের সংযোজনের ফলে পানির ভৌত রাসায়নিক এবং জীব বৈজ্ঞানিক ধর্মের এবং পানির গুণের ক্ষতিকর পরিবর্তন ঘটে তাকে পানি। দূষণ বলে ।
শিল্প বর্জ্য ও পানি দূষণ
প্রশ্ন-» শিল্পজাত বর্জ্য কী?
উত্তর: শিল্প কারখানার কাঁচামাল, উৎপাদন, পদ্ধতি, পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া, অপদ্রব্যের প্রকৃতি, রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রভৃতি ধাপসমূহ থেকে প্রাপ্ত বর্জ্যকে শিল্পজাত বর্জ্য বলা হয় ।
প্রশ্ন-» শিল্পজাত তরল বর্জ্য কী?
উত্তর: কাঁচামালের প্রক্রিয়াকরণ, উপ-প্রয়োগে, উৎপাদ ও সহ উৎপাদকের পৃথকীকরণসহ বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক সৃষ্ট তরল পদার্থের মিশ্রণকে শিল্পজাত তরল বর্জ্য বলে।
পানি দূষণের কারণ অনুসন্ধান ও এর প্রতিকার
প্রশ্ন-» আর্সেনিকোসিস কী?
উত্তর: আর্সেনিকোসিস এক ধরনের আর্সেনিক ঘটিত রোগ যা আর্সেনিক এর মাত্রা বৃদ্ধির কারণে ঘটে থাকে।
খাদ্যশৃঙ্খলে ভারী ধাতু (As, Cr, Pb, Cd) যুক্ত হওয়ার কারণ ও প্রভাব
প্রশ্ন-» ভারী ধাতু কী?
উত্তর: যেসব ধাতুর আপেক্ষিক গুরুত্ব 1 অপেক্ষা বেশি (যেমন-Hg Cd) তাদেরকে ভারী ধাতু বলে।
প্রশ্ন-» বায়ো অ্যাকোমুলেশন কাকে বলে?
উত্তর: ভারী ধাতুসমূহ দেহ অভ্যন্তরে জমা হয়ে বিপদজনক মাত্রার ন্যূনতম মাত্রা অতিক্রম করার প্রক্রিয়াকে বায়ো অ্যাকোমুলেশন বলে।
দ্রবণের প্রকারভেদ এবং দূষক পদার্থসমূহের বায়ু ও পানিতে দ্রবীভূত থাকার কৌশল
প্রশ্ন-» প্রাইমারীবা মূখ্য দৃষক কাকে বলে?
উত্তর: যে সকল দূষক পদার্থ সরাসার বায়ূতে নির্গত হয় তদেরকে প্রাইমারী দৃষক বলে।
প্রশ্ন-» সেকেন্ডারি বা গৌণ দৃষক কাকে বলে?
উত্তর: পরিবেশের এক বা একাধিক উপাদানের সঙ্গে প্রাইমারি দৃষক যুক্ত হয়ে যে নতুন দৃষকের সৃষ্টি করে, তাদেরকে সেকেন্ডারি দৃষক বলে।
প্রশ্ন-» পানিগ্রাহী পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: সেসব কঠিন, তরল ও বায়বীয় পদার্থকে বায়ুতে খোলা অবস্থায় রেখে দিলে তারা বায়ুতে জলীয় বাষ্প শোষণ করে, কিন্তু তরল দ্রবণে পরিণত হয় না সেসব পদার্থকে পানিগ্রাহী পদার্থ বলে।।
প্রশ্ন-» দ্রবণ কী?
উত্তর: দুই বা ততোধিক পদার্থ নিজের ধর্ম বজায় রেখে যখন এক সঙ্গে মিশে যে সমসত্ত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে তাকে দ্রবণ বলে।
প্রশ্ন-» দূষক কী?
উত্তর: যদি কোনো পদার্থের ঘনমাত্রা পরিবেশে তার সহন অপেক্ষা অধিক পরিমাণে উপস্থিত থেকে অন্যান্য জীবের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সষ্টি করে তবে উক্ত পদার্থকে দূষক বলে।
প্রশ্ন-» বায়ু দূষণ কী?
উত্তর: কোনো কোনো পদার্থ প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে উৎপন্ন হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিশে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে যাকে বায়ু দূষণ বলে।