খাদ্য কৌটাজাতকরণ প্রণালি বা মূলনীতি

খাদ্য কৌটাজাতকরণ প্রণালি (Food canning Methods):

 বিভিন্ন ধরনের ফল ও তাদের রস, জ্যাম, জেলি, মাছ ও মাংস কৌটাজাত করে সংরক্ষণ ও বাজারজাত করা হয়। এ উদ্দেশ্যে কয়েকটি সাধারণ ধাপ অনুসরণ করা হয়।

১ নির্বীজকরণ :  যে টিন বা পাত্রে খাদ্য সংরক্ষণ করতে হবে তার ঢাকনাসহ গরম পানিতে    ঘণ্টা ফুটিয়ে নির্বীজ করে শুকিয়ে রাখতে হয়। সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চামচ, ছুরি, পাত্র, ট্রে সবই এভাবে নির্বীজ (Sterilize) করে ?

২. কাঁচামাল সংগ্রহ: আকৃতি ও বর্ণে সুন্দর সতেজ ও নিখুত কাঁচামাল (ফল, শাকসবজি, মাছ, মাংস) সংগ্রহ করা হয়।

৩. ধৌতকরণ : পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত পানিতে ভালোভাবে খাদ্য ধুয়ে নেয়া ।

৪. খোসা-বর্জ্য অপসারণ : শাকসবজির অপ্রয়োজনীয় অংশ, ফলের খোসা ও বীজ বা মাছ মাংসের চর্বি ও অভক্ষণীয় অংশ অপসারণ করা হয়।

৫. ব্লঞ্চিং : ফুটন্ত পানিতে বা সদ্য তৈরি করা স্টিমে খাদ্যের টুকরাগুলো ৫-১০ মিনিট তাপ দিয়ে নেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ার নাম ব্লঞ্জিং। বেশি পাকা ফলের ক্ষেত্রে ব্লাঞ্চিং বাদ দেয়া হয়। অথবা আচার বা জেম-জেলির ক্ষেত্রে লবণ বা চিনির গাঢ় দ্রবণে এবং সিরকায় প্রসেস করে নেয়া হয়।

৬. কৌটা ভর্তিকরণ : নির্বীজ (Sterilize) করা কৌটায় খাদ্যের টুকরাগুলো বসানো হয়।

৭. একজস্টিং : কৌটা সিল করার পূর্বে খাদ্য আবার তাপ ( 85° C-100° C, 10 মিটিন ধরে ) দেয়া হয়। এ ধাপকে একজস্টিং বলে।

৮. সীলিং : একজস্টিং এর সঙ্গে সঙ্গে কৌটার ঢাকনা লাগিয়ে দ্রুত সিল করা হয়। এটি এত টেকনিকেলি ও সতর্কভাবে করতে হয় যেন সিলিং সম্পূর্ণ বায়ুরোধী হয়।

৯. রিটর্টিং : সিলিং এর পর রিটর্টিং করা হয়। যেসব খাদ্যে এসিড নেই সেগুলো ১২১° সে. উষ্ণতায় ২ ঘন্টা এবং যেসব খাদ্য এসিডিক সেগুলো ১০০° সে. উষ্ণতায় ৩০মি. তাপ দেয়া হয়।

১০. শীতলীকরণ : রিটর্টিং এর পর গরম ক্যান ঠাণ্ডা করে কক্ষ তাপমাত্রায় আনা হয় ।

১১. লেবেলিং : সবশেষে কৌটার বাইরে লেবেল লাগানো হয়। লেবেল-এ খাদ্যের নাম, কী কী আছে। পরিমাণসহ, ব্যবহারের সর্বশেষ তারিখ (expiry date) ও অন্যান্য তথ্য ছাপানো থাকে।

 ১২. বাজারজাতকরণ : এসব কৌটা গুদামে রাখা হয় যেখান থেকে বাজারজাত করা হয়।

  

Leave a Reply